বাংলায় মুসলিম শাসনামল

- সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী | - | NCTB BOOK
4.9k
4.9k

মুহম্মদ ঘুরীর সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবেকের আদেশক্রমে তুর্কী বার ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী ১২০৪ সালে মাত্র ১৭-১৮ জন অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে বাংলার শেষ স্বাধীন সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন। বখতিয়ার খলজীর বাংলা অধিকারের মাধ্যমে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা হয়। তিনি দিনাজপুরের দেবকোটে বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আলাউদ্দিন খলজি
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
সম্রাট আকবর
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি
সম্রাট বাবর
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
আলাউদ্দিন মোবারক খলজি

বাংলায় তুর্কি শাসন

1.4k
1.4k

বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রাথমিক পর্যায় ছিল (১২০৪-১৩৩৮) সাল পর্যন্ত। এ যুগের শাসকগণ সবাই দিল্লির সুলতানের অধীনে বাংলার শাসনকর্তা হয়ে এসেছিলেন। বাংলার অনেক শাসনকর্তাই দিল্লির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীন হতে চেয়েছিলেন। বারংবার এমন বিদ্রোহ সংঘটিত হওয়ার জন্য দিল্লির ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী “তারিখ- ই-ফিরোজশাহী" গ্রন্থে বাংলার নাম দিয়েছিলেন বুলগাকপুর বা বিদ্রোহের নগরী।

বাংলায় তুর্কী শাসক

  • নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাংলার প্রথম তুর্কি শাসক ছিলেন। তিনি ইলতুৎমিসের পৌত্র ছিলেন।
  • সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজি 'বাসনকোর্ট' দুর্গ নির্মাণ করেন। প্রথম মুসলিম নৌবাহিনী গঠন করে।
  • সুলতান সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ সিলেটের অত্যাচারী গৌরগোবিন্দকে পরাজিত করেন। তার সময়ে হযরত শাহ জালাল বাংলায় আসেন।
common.content_added_by

নাসির উদ্দিন মাহমুদ

579
579
common.please_contribute_to_add_content_into নাসির উদ্দিন মাহমুদ.
common.content

সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজি

513
513
common.please_contribute_to_add_content_into সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজি.
common.content

সুলতান সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ

618
618
common.please_contribute_to_add_content_into সুলতান সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ.
common.content

বাংলায় স্বাধীন সুলতানি আমল

3.1k
3.1k

দিল্লির সুলতানগণ (১৩৩৮-১৫৩৮) এ দুইশত বছর বাংলাকে তাদের অধিকারে রাখতে পারেনি। এ সময় বাংলার সুলতানরা স্বাধীনভাবে বাংলা শাসন করেন। ১৩৩৮ সালে সোনারগাও এর শাসক বাহরাম খানের মৃত্যু হলে তার বর্মরক্ষক 'ফখরা' সুযোগ বুঝে নিজে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ নামধারণ করে সোনারগাওয়ের সিংহাসন দখল করেন।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ

নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ

আলাউদ্দিন হোসেন শাহ

গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ

শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
নবাব আলীবর্দী খান
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি
নবাব সিরাজউদ্দৌলা
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি
নবাব সিরাজউদ্দৌলা
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
নবাব আলীবর্দী খান

ফকরুদ্দিন মুবারক শাহের শাসন(১৩৩৮-১৩৪৯)

1.1k
1.1k

খরউদ্দিন মুবারক শাহের পূর্বনাম ফখরা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান। তিনি সোনারগাঁয়ের শাসন ক্ষমতা দখল ও স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- ১৩৩৮ সালে । স্বাধীন সুলতান হিসাবে তিনি উপাধি গ্রহণ করেন ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ। তিনি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত রাজপথ নির্মাণ করেন। ইবনে বতুতা তার আমলে (১৩৪৬) সালে বাংলায় আসেন।

common.content_added_and_updated_by

সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ (১৩৪২-১৩৫৮)

961
961

শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ অবিভক্ত বাংলার প্রথন মুসলিম স্বাধীন সুলতান ছিলেন এবং ইলিয়াস শাহী বংশের করেন। ইলিয়াস শাহী বংশ ১৩৪২ সাল থেকে ১৪১৫ সাল পর্যন্ত একটানা ৭৩ বছর ধরে অবিভক্ত বাংলা শাসন করে।

জেনে নিই

  • ১৩৫২ সালে ইলিয়াস শাহ পুরো বাংলা অধিকার করেন।
  • প্রাচীন জনপদগুলোকে একত্রিত করে নাম দেন 'বাঙ্গালাহ'।
  • তার উপাধি 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' বা ‘শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান’।
  • তিনিই প্রথম উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলা রাষ্ট্রের পরিচয় তুলে ধরেন।
  • ইলিয়াস শাহ বাংলার রাজধানী গৌড় থেকে পান্ডুয়া নগরীতে স্থানান্তর করেন।

common.content_added_and_updated_by

সুলতান সিকান্দার শাহ (১৩৫৮-১৩৯০)

614
614

পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ সিকান্দার শাহের অমর কীর্তি। তিনি সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা সুলতান। সুলতান সিকান্গৌদার শাহ গৌড়ের কোতয়ালী নরজা নির্মাণ করেন।

common.content_added_by

সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ

939
939

সবচেয়ে জনপ্রিয় সুলতান ছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ। আজম শাহ বাংলা ভাষার পরম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর সময়ে ইউসুফ জোলেখা রচনা করেন কবি শাহ মুহম্মদ সগীর । এ সময় কৃত্তিবাসের রামায়ণ বাংলা অনুবাদ করা হয়। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে তিনি পত্রালাপ করতেন।

common.content_added_by

আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯)

662
662

বাংলার স্বাধীন সুলতানদের মধ্য সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। তাকে বলা হয় বাংলার আকবর, তার শাসনামলকে বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়। হুসাইন শাহের আমলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড় । তিনি সংগ্রাম থেকে আরাকানীদের বিতাড়িত করেন। হুসাইন শাহের রাজত্বকালে শ্রীচৈতন্য বৈষ্ণব আন্দোলন (বৃন্দাবন) গড়ে তোলেন। হুসাইন শাহের সেনাপতি কবীন্দ্র পরমেশ্বর বাংলা ভাষায় মহাভারত রচনা করেন। বিপ্রদাস, বিজয়গুপ্ত, যশোরাজ খান প্রমুখ সাহিত্যিকগণ তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। হুসেন শাহী আমলে বাংলা গজল ও সুফী সাহিত্যের সৃষ্টি হয়। তাঁর শাসনামলে গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ ও গুমতিদ্বার নির্মিত হয়।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
শের-শাহ
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ

নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ (১৫১৯-১৫৩২)

595
595

গৌড়ের বিখ্যাত বড় সোনা মসজিদ (বারদুয়ারি মসজিদ) নির্মাণ করে। সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহের অমরকীর্তি- কদম রসুল। তার সময়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

common.content_added_by

গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ

576
576

বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান ছিলেন গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ। ১৫৩৮ সালে শেরশাহ গৌড় দখলের মাধ্যমে বাংলায় স্বাধীন সুলতানী যুগের অবসান ঘটে।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ইবনে বতুতা

946
946

ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পর্যটক, চিন্তাবিদ এবং বিচারক। তিনি ১৩০৪ খ্রিস্টাব্দে মরক্কোয় অনুগ্রাহণ করেন। ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে মুহম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্বকালে ইবনে বক্তৃতা ভারতবর্ষে আগমন করেন। সুলতানের সাথে পরিচয় ঘটলে তিনি এই পরিব্রাজককে কাজীর পদে নিযুক্ত করেন। ইবনে বতুতা অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে ৮ বছর উক্ত পদে বহাল ছিলেন। ইবনে বতুতা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহের রাজত্বকালে ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় আসেন। বাংলাদেশে আসার তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল সিলেটে গিয়ে হযরত শাহজালালের সঙ্গে সাক্ষাৎকরা। ইবনে বক্তৃতা প্রথম বিদেশি পর্যটক হিসাবে 'বাঙ্গালা' শব্দ ব্যবহার করেন। নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যাদির প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী ইবনে বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এদেশের আবহাওয়া তাঁর পছন্দ হয়নি। ইবনে বক্তৃতার তার 'কিতাবুল রেহেলা' নামক গ্রন্থে বাংলাকে “দোযখপুর আয নিয়ামত বা 'আশীর্বাদপুষ্ট নরক' হিসাবে আখ্যায়িত করেন।

common.content_added_by

বারো ভুঁইয়াদের ইতিহাস

2.1k
2.1k

সম্রাট আকবর পুরো বাংলার উপর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। বাংলার শক্তিশালী জমিদারগণ মুঘলদের বশ্যতা স্বীকার করেনি। স্বাধীনতা রক্ষার্থে তারা একজোট হয়ে মুঘল সেনাপতির বিরুদ্ধে লড়াই করতেন। বাংলার ইতিহাসে ভাটি অঞ্চলের এ জমিদারগণ বারো ভূঁইয়া নামে পরিচিত।

কয়েকজন শাসক

  • ঈসা খান সোনারগাঁও অঞ্চল শাসন করেন।
  • কেদার রায় বিক্রমপুর শাসন করেন।
  • কিঙ্কর সেন পিরোজপুর শাসন করেন।
  • ওসমান খা উড়িষ্যা শাসন করেন।
  • প্রতিপাদিত্য যশোর অঞ্চল শাসন করেন।
  • ফজল গাজী গাজীপুর শাসন করে।
  • কন্দর্প রায় বরিশাল শাসন করে।
  • পীতাম্বর পুঠিয়া শাসন করে।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাবরের সময়
আওরঙ্গজেবের সময়
জাহাঙ্গীরের সময়
আকবরের সময়

ঈসা খান (১৫২৯-১৫৯৯)

479
479

বারো ভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন ঈসা খান। তিনি বাংলার ধানী হিসেবে সোনারগাও এর গোড়া পত্তন করেন। সম্রাট আকবরের সেনাপতিরা বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর বারো ভূঁইয়াদের নেতা হন ঈসার পুত্র মুসা খান। তার আমলেই বাংলার বারো ভূঁইয়াদের চূড়ান্তভাবে দমন করা হয়। সুবেদার ইসলাম খান বারো ভূঁইয়ানের নেতা মুসা খানদের পরাস্ত করেন। এগারসিন্ধুর গ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ইসা খানের নাম বিজড়িত মধ্যযুগীয় একটি দূর্গ।

common.content_added_by

বাংলায় সুবেদারি শাসন

2k
2k

১৫৭৬ সালে রাজমহলের যুদ্ধে বাংলার শেষ আফগান শাসক দাউদ কররানী পরাজিত হলে বাংলায় মুঘল শাসন শুরু হয়। এ সময় মুঘল শাসক ছিলেন সম্রাট আকবর। সুবাদারি ও নবাবি এ দুই পর্বে বাংলায় মুঘল শাসন অতিবাহিত হয়। বারোভূঁইয়াদের দমনের পর সমগ্র বাংলায় সুবেদারী প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় সমগ্র বঙ্গ দেশ সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ নামে পরিচিত হয়। মুঘল প্রদেশগুলো সুবা নামে পরিচিত ছিল। প্রাদেশিক শাসনকর্তাকে বলা হতো সুবাদার।

common.content_added_by

মানসিংহ

521
521

মানসিংহ সম্রাট বরের সেনাপতি ছিলেন। তিনি বাংলা দখল নেওয়ার প্রচেষ্ঠা চালান এবং বারো ভূঁইয়াদের দমন করতে ব্যর্থ হন।

common.content_added_by

ইসলাম খান

1.2k
1.2k

১৬০৮ সালে ইসলাম খানকে সুবেদার হিসেবে নিয়োগ দেয় সম্রাট জাহাঙ্গীর। তিনি বারো ভূঁইয়াদের দমন করে সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৬১০ সালে বিহারের রাজমহল থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসেন। সুবেদার ইসলাম খান ঢাকার নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। ইসলাম খান ঢাকার 'ধোলাই খাল খনন করেন। তিনি বাংলার নৌকা বাইচ উৎসবের সূচনা করেন।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শায়েস্তা খান

826
826

শায়েস্তা খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে। আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন শায়েস্তা খান। চট্টগ্রাম অধিকার করে আরাকানি মগ জলদস্যুদের উৎখাত করেন। আরাকানি জলদস্যুদের হটিয়ে তিনি চট্টগ্রামের নাম রাখেন ইসলামাবাদ। শায়েস্তা খান বাংলা থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করেন। টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত শায়েস্তা খানের আমলে। তাঁর আমলের স্থাপত্যশিল্প ছোট কাটরা, লালবাগ কেল্লা, চক মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ, পরি বিবির মাজার (শায়েস্তা খানের মেয়ে), হোসেনী দালান, বুড়িগঙ্গার মসজিদ, প্রভৃতি।

common.content_added_by

কাশিম খান জুয়ানি

650
650

কাশিম খান জুয়ানি সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রথম সুবেদার। পর্তুগিজদের অত্যাচারের মাত্রা চরমে পৌঁছলে সম্রাট শাহজাহানের আদেশে কাসিম খান তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করেন।

common.content_added_by

শাহ সুজা

610
610

সম্রাট শাহজাহানের ২য় পুত্র শাহ সুজা ২০ বছর বাংলায় সুবাদারি করেন। তিনি ইংরেজদের বিনা শুল্কে বানিজ্য করার সুযোগ নেন। শাহজাদা সুজা ঢাকার চক বাজারে 'বড় কাটরা মসজিদ নির্মাণ করেন। সুজা তার ভ্রাতা আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।

common.content_added_by

মীর জুমলা

484
484

আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলা সুজাকে দমনের জন্য বাংলার রাজধানী জাহাঙ্গীরনগর পর্যন্ত এসেছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদারের দায়িত্ব নেন। তিনি ঢাকা গেট (পূর্ব নাম মীর জুমলা) নির্মাণ করেন। কৃষকদের নিকট থেকে প্রথম কর আদায় করেন।

common.content_added_by

পরিবিবি

540
540

পরিবিবি ছিলেন শায়েস্তা খানের কন্যা। পরিবিবির আসল নাম ইরান দুখত রহমত বানু। লালবাগ দুর্গের মাঝখানে বর্গাকার ভবনটিতে তার কবর।

common.content_added_by

যুগে যুগে বাংলার বিভিন্ন নাম

1.5k
1.5k
common.please_contribute_to_add_content_into যুগে যুগে বাংলার বিভিন্ন নাম.
common.content

বঙ্গ

502
502

সর্বপ্রথম বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায় ‘ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে।

common.content_added_by

বাঙ্গালাহ

463
463

১৩৫২ সালে সুলতান ইলিয়াস শাহ ১৬ টি জনপদ একত্রিত করে বঙ্গের নাম দেন বাঙ্গালাহ ।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ফখরুউদ্দিন মোবারক শাহ
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্‌
জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
ঈসা খান

জান্নাতাবাদ

538
538

১৫৩৮ সালে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন গৌড়ের সৌন্দর্য দেখে বাঙ্গালার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সুবে বাংলা

705
705

১৫৭৬ সালে মুঘল সম্রাট আকবর জান্নাতাবাদ নামকরণ করে ‘সুবে বাংলা’। সুবে অর্থ প্রদেশ।

common.content_added_by

বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি

460
460

লর্ড ডালহৌসি ১৮৫৪ সালে সুবে বাংলার নামকরণ করেন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি।

common.content_added_by

পূর্ববঙ্গ

506
506

লর্ড কার্জনের আমলে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হলে বঙ্গের নাম হয় ‘পূর্ব বঙ্গ’ ।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পূর্ব পাকিস্তান

438
438

১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার সাংবিধানিক ভাবে পূর্ব বঙ্গের নাম 'পূর্ব পাকিস্তান' হয়।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাংলাদেশ

564
564

১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন বাংলাদেশ।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাংলায় নবাবী আমল

1.5k
1.5k
common.please_contribute_to_add_content_into বাংলায় নবাবী আমল.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

লক্ষ্ণণ সেন
সম্রাট আকবর
সিরাজ উদ্দৌলা
আলীবর্দী খাঁ
নবাব সিরাজউদ্দৌলা
মুর্শিদ কুলী খান
ইলিয়াস শাহ
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ

মুর্শিদ কুলি খান (১৭১৭-১৭২৭)

536
536

মুর্শিদ কুলি খান বাংলায় প্রথম স্বাধীন নবাবী রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন ১৭১৭ সালে। তাঁর সময় সুবাকে বলা হতো ‘নিজামত’ আর সুবাদারের বদলে পদবি হয় ‘নাজিম’। সম্রাট ফররুখ শিয়ার শাসনকালে মুর্শিদকুলি খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তিনি বার্ষিক ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাঠাতেন। তাঁর শাসনামলে বাংলা সুবা বাংলা প্রায় স্বাধীন হয়ে পড়ে।

common.content_added_by

আলীবর্দি খান (১৭৪০-১৭৫৬)

433
433

আলীবর্দি খান বাংলার প্রথম প্রকৃত স্বাধীন নবাব । তিনি মুঘল সম্রাটদের রাজস্ব প্রদান বন্ধ করেন। মুসলমান শাসনামলে এদেশে এসে অত্যাচার ও লুট করেছে বর্গীরা। বাংলা থেকে মারাঠা বর্গীদের বিতাড়িত করেন আলীবর্দি খান।

common.content_added_by

অন্ধকূপ হত্যা-১৭৫৬

568
568

নবাব সিরাজউদ্দৌলার কলকাতা অভিযানের সময় হলওয়েলসহ কতিপয় ইংরেজ কর্মচারী ফোর্ট উইলিয়ামে বন্দী হয়ে ছিলেন। হলওয়েলের বর্ণনা অনুসারে জানা যায়, নবাব ১৪৬ জন ইউরোপীয় ইংরেজ বন্দীকে একটি ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখেন। প্রচন্ডে গরমে ক্ষুদ্র জায়গায় ১৪৬ জনের মধ্যে ১২৩ জন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। হলওয়েল কর্তৃক প্রচারিত এই কাহিনি অন্ধকূপ হত্যা নামে প্রচারিত হয়। অন্ধকূপ হত্যার ঐতিহাসিক সত্যতা পাওয়া যায়নি।

common.content_added_by

সিরাজউদ্দৌলা (১৭৫৬-১৭৫৭)

424
424

সিরাজউদ্দৌলার প্রকৃত নাম মির্জা মোহাম্মদ বেগ। তিনি ছিলেন শেষ স্বাধীন নবাব। আলীবর্দি খান নবাব উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা আমেনা বেগমের পুত্র সিরাজউদ্দৌলাকে। ১৭৫৬ সালে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার সিংহাসনে বসেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে। ১৭৫৬ সালে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করে নেন এবং কলকাতার নাম রাখেন আলীনগর।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পলাশী যুদ্ধে
সিপাহি বিদ্রোহে
বক্সারের যুদ্ধে
কর্ণাটকের যুদ্ধে

পলাশীর যুদ্ধ-১৭৫৭

926
926

পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন। এ যুদ্ধে ইংরেজদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রবার্ট ক্লাইভ। আলীবর্দির প্রথম কন্যা ঘষেটি বেগমের ইচ্ছে ছিল তাঁর দ্বিতীয় ভগ্নির পুত্র শওকত জঙ্গ নবাব হবেন। ফলে তিনি সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সাহায্য করেন সেনাপতি মীর জাফর, খালা ঘসেটি বেগম, রায়দুর্লভ, জগৎশেঠ, উমিচান, রাজবল্লভ প্রমুখ। নবাবের পক্ষে যুদ্ধ করেন মীরমদন, মোহনলাল ও ফরাসী সেনাপতি সিনফ্রে ।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধে নবাবের সেনাপতি মীর জাফর বিশ্বাসঘাতকতা করে যুদ্ধে অংশগ্রহণে বিরত থাকেন। বিশ্বাসঘাতকতায় অসহায়ভাবে পরাজয় বরণ করেন সিরাজউদ্দৌলা। পলাশির যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরা বাংলায় রাজনৈতিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। মুঘল সাম্রাজ্যের স্থিতিকাল প্রায় ৩৩১ বছর (১৫২৬-১৫৫৭)। তবে ১৭৫৮ সাল পর্যন্ত প্রতীকি দায়িত্ব টিকে ছিল মুঘলদের। সর্বশেষ সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

২২ জুন ১৭৫৭
২৪ জুন ১৭৫৭
২৩ জুন ১৭৫৭
২৫ জুন ১৭৫৭
সিপাহী বিপ্লব
পলাশীর যুদ্ধ
পানিপথের যুদ্ধ
জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড

বক্সারের যুদ্ধ-১৬৬৪

560
560

মীর কাসিম ছিলেন মীর জাফরের জামাতা। তিনি ১৭৬০ সালে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। মীর কাসিম ছিলেন একজন সুযোগ্য শাসক ও একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাই প্রশাসনকে ইংরেজ প্রভাবমুক্ত করার জন্য বিচক্ষণ নবাব সর্বাগ্রে রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে স্থানান্তরিত করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে মীর কাশিমের যুদ্ধ হয় বক্সার নামক স্থানে, যুদ্ধে কাশিমকে পরাজিত করে ব্রিটিশ বেনিয়ারা শাসন পাকাপোক্ত করে।

common.content_added_by

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

777
777

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার জন্য ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত একটি জয়েন্ট‌-স্টক কোম্পানি। এর সরকারি নাম "ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি"। ১৬০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইংল‍্যান্ডের তৎকালীন রাণী প্রথম এলিজাবেথ এই কোম্পানিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার রাজকীয় সনদ প্রদান করেছিলেন।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion